
এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশের আকাশে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণটি শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা ১টা ৪৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ছেঁড়াদ্বীপ থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ৮ মিনিট ২৯ দশমিক ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যাবে। ছেঁড়াদ্বীপের অক্ষাংশ ২০ ডিগ্রি ৩৪ দশমিক ৫০ মিনিট উত্তর ও দ্রাঘিমাংশ ৯২ ডিগ্রি ২০ দশমিক ২০ মিনিট পূর্ব। এ অঞ্চলটি গ্রহণের মূল কেন্দ্রীয় রেখার পাশে অবস্থিত।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী ২১১৪ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে আর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। ২০০৯ সালেই সর্বশেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। পূর্ণগ্রাস সূর্য দেখতে হলে তাদের ছায়ার মধ্যে পুরোপুরি থাকতে হয়। পূর্ণগ্রাসের ক্ষেত্রে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। বলয়গ্রাসের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটে না। এখানে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলতে পারে না। ফলে চাঁদের চারদিকে সূর্যালোকের একটি সরু বলয় বা রিং দেখা যায়। ১৫ জানুয়ারির সূর্যগ্রহণের মূল মধ্যরেখা দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে মিয়ানমারের আকিয়াব অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। ছেঁড়াদ্বীপ ছাড়াও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও জেলার দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বলয়গ্রাস দেখা যাবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ২০৬৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে দেখা যাবে না। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে চাঁদ। ফলে পৃথিবীর কোনো স্থান থেকে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যায়। পৃথিবীতে এখন চাঁদের ছায়া পড়ে। চাঁদ যখন সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলে তখন হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আংশিক ঢাকলে হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় বলে সৌরমুকুট দেখা যায়। চাঁদের কৌনিক ব্যস সূর্যের চেয়ে ছোট হলে হয় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।
পৃথিবী থেকে চাঁদ যখন বেশি দূরত্বে থাকে তখন তার পক্ষে পুরো সূর্যকে ঢেকে দেয়া সম্ভব হয় না। তখনই ঘটে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এটি দেখতে হলে চাঁদের বিপরীত প্রচ্ছায়ার মধ্যে থাকতে হয়। এর আকার হয় মাত্র কয়েকশ কিলোমিটার। তাই সব অঞ্চলে বলয়গ্রাস দেখা সম্ভব হয় না। চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দ্রুত বেগে এগিয়ে যায়। ফলে গ্রহণের সময়কালটাও সাধারণত সীমিত হয়।
গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।