চাঁদের গুহায় বসতি!


চাঁদের বুকে, সাগরতীরে বা হ্রদের পাশে বাড়ি—এমন কথা শুনতে সুমধুর শোনালেও চাঁদের বুকে বাস করার ভালো জায়গা কিন্তু সেখানকার পাহাড়ি গুহাগুলোই। বিজ্ঞানীদের একটি দল এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা চাঁদের বুকে আগেম্নয় ম্যারিয়াস পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত একটি সংরক্ষিত লাভা টিউব খুঁজে পেয়েছেন, যেটা দেখতে অনেকটা গভীর খাদের মতোই। এই খাদ ২১৩ ফুট প্রশস্ত আর আনুমানিক ২৬০ ফুট গভীর। চাঁদের মাটিতে বসতি স্থাপনের জন্য এই গুহাটিই উপযুক্ত বলে মনে করছেন তারা। আমেরিকার জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের সাময়িকী ‘জিওফিজিক্যাল রিচার্স লেটারস’ এ বিষয়ক একটি প্রবন্ধে এই তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গুহা চাঁদের অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আকস্মিক উল্কাপাত থেকেও রক্ষা করবে। এই গুহার বিশেষত্ব হলো, লাভার পাতলা একটি স্তর যা সম্ভাব্য বসতি স্থাপনে ও গবেষণার কাজে নিরাপত্তা দেবে। লাভা টিউব চাঁদের বুকে আগে আবিষ্কার করা হলেও এই গুহাটি এই লাভার স্তরটির জন্যই ব্যতিক্রম। এই স্তরটি ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। লাভা টিউব অবশ্য পৃথিবীতেও আছে। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সিলিন্ডার আকৃতির এসব গুহা সৃষ্টি হয়েছে লাভা উদগীরণ, ভূমিকম্পের ফলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত, মহাজাগতিক পরিবর্তন বা উল্কাপাতের পর ভূমিধসের ফলে। ‘সেলিনি’ নামের জাপানি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। তার সাহায্যে তোলা হাই রেজ্যুলেশন ছবির মাধ্যমেই এই লাভা টিউব আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। নাসা ২০২০ সালে আবারও চাঁদে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেছে। আর ২০২৫ সাল নাগাদ চাঁদের বুকে অস্থায়ী একটি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাও নাসার আছে।